প্রশিক্ষণ
মাশরুম চাষ ও বিপণন প্রশিক্ষণ কেন নিবেন ও প্রশিক্ষণের শর্তাবলী নিম্নরূপঃ
মাশরুম আমাদের দেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণের কারণে এর উৎপাদন ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট মাশরুমের জাত নির্বাচন, জাত সংগ্রহ, উৎপাদন, ব্যবহার ও বিপণনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। হার্বস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড বাংলাদেশে মাশরুম ফাউন্ডেশন ও মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ নয় বছর যাবত মাশরুম শিল্পের যাবতীয় কর্মকাণ্ড যেমন- মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণ, মাশরুম পিওর কালচার, মাশরুম মাদার কালচার, বাণিজ্যিক বীজ উৎপাদন, মাশরুম চাষ ও উৎপাদিত মাশরুম প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নানাবিধ মাশরুম সমৃদ্ধ পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করে ভোক্তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান বি.এস.টি.আই কর্তৃক মাশরুমের বি.ডি.এস সনদপ্রাপ্ত সেই সাথে বি.এস.টি.আই এর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন (এম.এস.সি) বোর্ড কর্তৃক ISO 9001:2015 সনদপ্রাপ্ত।
উদ্দেশ্যঃ
- প্রতিটি জেলা ও থানায় মাশরুম চাষ ও বিপণন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূর করা।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন মাশরুমের ভূমিকা বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
- হার্বস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড কর্তৃক উৎপাদিত মাশরুম, মাশরুম জাত পণ্য ও প্রসাধনী বিপণনের মাধ্যমে ব্যাতিক্রমধর্মী ব্যাবসাক্ষেত্র সৃষ্টি করা।
কেন মাশরুম চাষ করবেন?
- মাশরুম সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন একটি অভিজাত ও নিরাপদ খাবার, যা আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে মাশরুম চাষ করে কাঁচা ও শুকনা মাশরুম এবং তাজা মাশরুম থেকে মাশরুম ফ্রাই সহ নানাবিধ খাবার তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে সহজেই অর্থ উপার্জন করা যায়।
- বর্তমানে বহু বেকার ও কর্মজীবী যুবক-যুবতী, গৃহিণী এমনকি প্রতিবন্ধীরাও মাশরুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
- মাশরুম চাষ পদ্ধতি সহজ, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বিধায় সারা বছর বাংলাদেশে মাশরুম চাষ করা যায়।
- মাশরুম চাষের উপকরণ সহজলভ্য ও দামে কম, সে কারণে মাশরুম চাষে অতিরিক্ত পুঁজি প্রয়োজন হয় না। ঘরের ভিতরে, বাড়ির আঙ্গিনায় উলম্ব পদ্ধতিতে বাড়ির নারীরা সহজেই মাশরুম চাষ করতে পারে।
- মাশরুম ব্যাবসায় অধিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।
- আপামর জনসাধারণের দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও বিভিন্ন জটিল রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, টিউমার, উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি, এজমা, পলিপ, অর্শ, এসিডিটি, বদহজম সহ নানাবিধ রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী।
- নতুন প্রজন্মের একটি প্রিয় খাবার মাশরুম। সেই দিক বিবেচনায় মাশরুম বর্তমান ও ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনাময়য় শিল্প।
- ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিযোগিতার যুগে একটি নতুন ধরনের ব্যতিক্রমী ব্যবসা সৃষ্টির মাধ্যমে সহজেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
প্রশিক্ষণের নিয়মাবলীঃ
- স্থানঃ সম্ভাব্য থানা ও জেলার নির্বাচিত প্রশিক্ষণ হল
- প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যাঃ একটি ব্যাচে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন।
- বয়সঃ সর্বনিম্ন ১৮ বছর
- প্রশিক্ষণার্থীর যোগ্যতাঃ ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ ভোটার আইডি কার্ড
- প্রশিক্ষণ ফিঃ ৫০০.০০ টাকা (প্যাকেজঃ মাশরুম চাষ বই, প্রডাক্ট ও আপ্যায়ন)
- প্রশিক্ষণের সময়ঃ একদিন (সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা)
- প্রশিক্ষণের বিষয়ঃ
- মাশরুম বীজ উৎপাদন ও চাষ পদ্ধতি,
- মাশরুম চাষ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ,
- মাশরুম পণ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী এর গুনাগুণ এবং
- ব্যাবসা ও বিপণন।